Adolf Hitler biography
হিটলারের জন্ম 1889 সালের 20 এপ্রিল অস্ট্রিয়া ব্যাভেরিয়ার মাঝামাঝি ব্রনাউ নামে এক অাধা গ্রাম আধা শহর। বাবা একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে সামান্য চাকরি করত। যা আয় করত তার তিন পত্নী আর ছেলে মেয়েদের খাবার সংকুলান হতো না। হিটলার ছিলেন তার বাবার তৃতীয় স্ত্রীর তৃতীয় সন্তান। ছয় বছর বয়সে স্থানীয় অবৈতনিক স্কুলে ভর্তি হন।ছেলে বেলা থেকেই হিটলার ছিলেন একগুয়ে, জেদী আর রগচটা। সামান্য ব্যাপারেই রেগে উঠতেন। অকারণে শিক্ষকদের সঙ্গে তর্ক করতেন। পড়াশুনাতে যে তার মেধা ছিল না এমন নয়। কিন্তু পড়াশুনার চেয়ে তাকে বেশি আকৃষ্ট করত ছবি আঁকা। যখনই সময় পেতেন কাগজ পেন্সিল নিয়ে ছবি আঁকতেন।
বাবার ইচ্ছা ছিল স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে কোন কাজকর্ম জুটিয়ে নেবে। বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই স্কুল ছেড়ে দিলেন হিটলার।স্থানীয় এক আর্ট স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। একটা বেসরকারী স্কুলে ভর্তি হলেন। কিন্তু কয়েক মাস পরে অর্থের অভাবে স্কুল ছেড়ে দিলেন।
মা মারা গেলে সংসারের সব বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেল। ভাগ্য অন্বেষণে
বের হয়ে পড়লেন হিটলার। ভিয়েনাতে চলে এলেন । ভিয়েনাতে এসে তিনি প্রথমে মজুরের কাজ করতেন।
কখনো মাল বইতেন। এরপর রং বিক্রি করতে আরম্ভ করলেন। ভিয়েনাতে থাকার সময়েই তার মনের মধ্যে
প্রথম জেগে ওঠে ইহুদি বিদ্বেষ। তখন জার্মানির অধিকাংশ কলকারখানা (mills), সংবাদপত্রের
(Newspapers) মালিক ছিল ইহুদিরা। দেশের অর্থনীতির
(Economy) অনেকখানিই তারা নিয়ন্ত্রণ করত। হিটলার কিছুতেই মানতে পারছিলেন না, জার্মান
দেশে বসে ইহুদীরা জার্মান দের উপর প্রভুত্ব করবে।
1912 সালে তিনি ভিয়েনা ছেড়ে এলেন মিউনিখে। সেই দুঃখ কষ্ট
আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে আরো দুটো বছর কেটে গেল। 1914 সালে শুরু হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
হিটলার সৈনিক হিসাবে যুদ্ধে যোগ দিলেন। এই যুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিলেও কোন
পদোন্নতি হয়নি।
যুদ্ধ শেষ হল, দেশ জুড়ে দেখা দিল হাহাকার আর বিশৃঙ্খলা।
তার মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল বিভিন্ন বিপ্লবী দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এদের উপর গোয়েন্দাগিরি
করবার জন্য হিটলারকে নিয়োগ দিলেন কর্তৃপক্ষ।
সেই সময় প্রধান রাজনৈতিক দল ছিল লেবার পার্টি। তিনি সেই
পার্টির সদস্য হলেন। অল্পদিনেই পাকাপাকিভাবেই পার্টিতে নিজের স্থান করে নিলেন হিটলার।
এক বছরের মধ্যে তিনি হলেন পার্টি প্রধান। দলের নতুন নাম রাখা হল ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স
পার্টি। পরবর্তীতে এই দলকেই বলা হত নাৎসী পার্টি।
1920 সালের 24শে ফেব্রুয়ারি প্রথম নাৎসী দলের সভা ডাকা
হল। এতেই হিটলার প্রকাশ করলেন 25 দফা দাবি। এর পর হিটলার প্রকাশ করলেন স্বস্তিকা চিহ্ণ
যুক্ত দলের পতাকা। ক্রমশই নাৎসী দলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তিন বছরের মধ্যে দলের সদস্য
হল 56000। এবং জার্মান রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করল।
হিটলার চেয়েছিলেন মিউনিখে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব
না থাকে। এই সময় তার পরিকল্পিত এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হল। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন।
তাকে এক বছরের জন্য ল্যান্ডসবার্গের পুরনো দুর্গে বন্দী করা হল। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে
আবার রাজনৈতিক কাজে ঝাপিয়ে পড়লেন। তার উগ্র স্পষ্ট মতবাদ (opinion), বলিষ্ঠ
(strong) বক্তব্য জার্মানদের আকৃষ্ট করল। দলে দলে যুবকরা তার দলের সদস্য হতে আরম্ভ
করল। সমস্ত দেশে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলেন হিটলার।
1933 সালের নির্বাচনে বিপুল ভোট পেলেন কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেলেন না। পার্লামেন্টের 647 টি আসনের মধ্যে তার দলের আসন ছিল 288 টি। বুঝতে পারলেন
ক্ষমতা অর্জন করতে হলে অন্য পথ ধরে অগ্রসর হতে হবে।
কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় হিটলার পার্লামেন্ট ভেঙে
দিলেন। এই বার ক্ষমতা দখলের জন্য শুরু হল তার ঘৃণ্য (Hateful) রাজনৈতিক চক্রান্ত। বিরোধীদের
(Opponent) অনেকেই খুন হলেন। অনেকে মিথ্যা (False) অভিযোগে জেলে গেল। বিরোধী দলের মধ্যে
নিজের দলের লোক প্রবেশ করিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেন। অল্পদিনের মধ্যেই বিরোধী
পক্ষকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে হিটলার হয়ে উঠলেন শুধু নাৎসী দলের নয়, সমস্ত জার্মানির
ভাগ্যবিধাতা।
হিটলারের এই উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল
ইহুদীদের বিরুদ্ধে তার প্রচার। তিনিই জার্মানদের মধ্যে ইহুদী বিদ্বেষের বীজকে রোপণ
করেছিলেন। দেশ থেকে ইহুদী বিতাড়নই ছিল নাৎসী বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য।
দেশে প্রান্তে প্রান্তে ইহুদী বিদ্বেষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
শুরু হল তাদের উপর লুটতরাজ হত্যা। হিটলার চেয়েছিলেন এই ভাবে দেশ থেকে ইহুদীদের বিতাড়ন
করবেন। কিন্তু কোন মানুষই সহজে নিজের আশ্রয় স্থল ত্যাগ করতে চায় না।
1935 সালে নতুন আইন প্রণয়ন করলেন হিটলার। তাতে দেশের নাগরিকদের
দুটো ভাগে ভাগ করা হল, জেন্টিল আর জু। জেন্টিল অর্থাৎ জার্মান, তারাই খাটি আর্য। জু
হল ইহুদীরা। তারা শুধুমাত্র জার্মান দেশের বসবাসকারী, এদেশের নাগরিক নয়। প্রয়োজনে তাদের
দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। দেশ জুড়ে জার্মানদের মধ্যে গড়ে তোলা হল তীব্র ইহুদী বিদ্বেষী
মনোভাব।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ইউরোপের মিত্রপক্ষ ও জার্মানদের
মধ্যে যে ভার্সাই চুক্তি হয়েছিল তাতে প্রকৃতপক্ষে জার্মানির সমস্ত ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ
করে ফেলা হয়েছিল। 1933 সালে হিটলার ক্ষমতায় আসবার পর থেকেই জার্মানির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার
করবার সংকল্প গ্রহণ করেন। এবং একে একে ভার্সাই চুক্তি শর্তগুলি মানতে অস্বীকার করে
নিজের শক্তি ক্ষমতা বিস্তারে মনোযোগী হয়ে উঠেন।
1934 সালে হিটলার রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে নিজেকে জার্মানির
ফুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করেন। এবং অল্পদিনের মধ্যে নিজেকে দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে
প্রতিষ্ঠিত করলেন। তার এই সাফল্যের মূলে ছিল জনগণকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা। তিনি দেশের
প্রান্তে প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনগণের কাছে বলতেন ভয়াবহ বেকারত্বের কথা, দারিদ্র্যের
কথা, নানান অভাব অভিযোগের কথা।
হিটলার তার সমস্ত ক্ষমতা নিয়োগ করলেন সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে।
তার সহযোগী হলেন কয়েকজন সুদক্ষ সেনানায়ক ও প্রচারবিদ। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত (Boarder)
প্রদেশে বিশাল সৈন্য সমাবেশ করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে রাইনল্যান্ড
অধিকার (Occupied) করলেন। অস্ট্রিয়া ও ইতালি ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ হল জার্মানির সাথে।
ইতালির সর্বাধিনায়ক ছিলেন মুসোলিনী। একদিকে ইতালির ফ্যাসাবাদী
শক্তি অন্যদিকে নাৎসী জার্মানি। বিশ্বজয়ের আকাঙ্ক্ষায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে। ইতালি প্রথমে
আলবেনিয়া ও পরে ইথিওপিয়ার বেশ কিছু অংশ দখল করে
নেয়।
অবশেষে হিটলার পোলান্ডের কাছে ডানজিগ ও পোলিশ করিডর দাবি
করেন। যাতে এই অঞ্চলে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে পারেন। পোলান্ডের সরকার তার এই দাবি সরাসরি
প্রত্যাখান করে। পোলান্ডের ধারণা ছিল হিটলার তার দেশ আক্রমণ করলে ইউরোপের অন্য সব শক্তি
তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তাদের সম্মিলিত শক্তির কাছে জার্মান বাহিনী পরাজিত হবে। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের (2nd World War) একটি বড় কারণ জার্মানির সামরিক শক্তি সম্বন্ধে
ইউরোপের অন্য সব দেশের সঠিক ধারণার অভাব (Less Information) । আর একটি বড় কারণ ইংল্যান্ড
ও ফ্রান্স (England & France) প্রথম পর্যায়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হিটলার ও
মুসোলিনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়নি। তাছাড়া ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী
চেম্বারলিনের ধারণা ছিল হিটলারের ক্ষমতা শুধু প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাছাড়া সেই
সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কাছে জার্মানির চেয়ে বড় শত্রু ছিল কমিউনিস্ট রাশিয়া। তাদের
উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে জার্মানরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম
হবে। তাই যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমস্ত শর্ত ভঙ্গ করে জার্মানরা (German) নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি
করে চলেছিল, তখন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স কেউ তাদের বাধা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। উপরন্তু
হিটলারকে নানান সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এই সুবিধাবাদী (Advantages) নীতির সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করেছিলেন হিটলার। বিশ্বজয়ের
স্বপ্নে মত্ত হয়ে ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে
জার্মান বাহিনী পোলান্ড আক্রমণ করল। এবং এই দিনটি থেকেই শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
মাত্র ১৫ দিনে জার্মান বাহিনী পোলান্ডের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে পোলান্ড অধিকার করল।
তার পর শুরু হল জার্মান বাহিনীর অগ্রগমন। পোলান্ডের পর হিটলার দখল করলেন নরওয়ে ও ডেনমার্ক।
নরওয়েতে বিরাট সংখ্যক বৃটিশ সৈন্য অবস্থান করছিল। তাদের অধিকাংশই নিহত হল। এই ঘটনায়
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলিন পদত্যাগ করলেন। নতুন প্রধান মন্ত্রী হলেন চার্চিল।
এইবার হিটলার দৃষ্টি ফেরালো ফ্রান্সের দিকে। ফ্রান্স ইউরোপের
সর্বপ্রধান শক্তি। ফ্রান্স নিজেদের নিরাপত্তার জন্য জার্মান সীমান্তে দুর্ভেদ্য ব্যূহ
সৃষ্টি করেছিল। যাকে বলা হত ম্যাজিনো। বেলজিয়াম আক্রমণ করে সেই দেশের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের
সীমান্ত প্রদেশে গিয়ে উপস্থিত হল। সেখানে তুমুল যুদ্ধের পর ফরাসী বাহিনী পরাজিত হল।
ফরাসীদের এই বিপর্যয়ে সুবিধা নেওয়ার জন্য ইতালি নিজেকে
জার্মানদের মিত্রপক্ষ হিসেবে ঘোষণা করে যুদ্ধে যোগ দিল। সমস্ত ইউরোপ আফ্রিকা জুড়ে ছড়িয়ে
পড়ল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ আগুন।
ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান মুসোলিনী উত্তর আফ্রিকা অধিকার করবার
জন্য বিরাট সৈন্য দল পাঠালেন। অন্যদিকে হিটলার ফ্রান্স অধিকার করবার জন্য সর্বশক্তি
নিয়োগ করলেন। হিটলার অনুগত ফ্যাসিস্ট শক্তি নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মার্শাল পেত্যাকে
নিযুক্ত করল। মার্শাল বিনাযুদ্ধেই হিটলারের কাছে আত্মসমর্পণ করল। ফ্রান্স জয়ের পর জার্মানি
যুগোস্লাভিয়া আর গ্রীস দেশ অধিকার করল। ইতিমধ্যে রুমানিয়া, বুলগেরিয়া , হাঙ্গেরী জার্মানির
পক্ষে যোগ দিল। এর ফলে সমগ্র দক্ষিণ ইউরোপ জার্মানির নিয়ন্ত্রণে এসে গেল।
একদিকে যখন জার্মান বাহিনী বীরদর্পে একের পর এক দেশ অধিকার
করে এগিয়ে চলেছে, দেশের অভ্যন্তরে হিটলার শুরু করেছেন নারকীয় ইহুদী নিধন যজ্ঞ। পৃথিবীর
ইতিহাসে এই নৃশংসতার কোন তুলনা হয় না। হিটলার চেয়েছিলেন জার্মানি থেকে ইহুদীদের নিশ্চিহ্ন
করতে। হাজার হাজার ইহুদী বন্দী করা হল। তাদের বলা হত তোমাদের জার্মানির বাইরে পাঠিয়ে
দেয়া হবে। তাদের গাড়ীতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হত জনবসতি হীন সীমান্ত অঞ্চলে। এখানে তাদের
জন্য অস্থায়ী বন্দীনিবাস তৈরি করা হয়েছিল। তাকে বলা হত ঘেট্টো। এখানে কোন খাবার ছিল
না, পানি ছিল না, তার উপর ছিল হিটলার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার। অল্প দিনের মধ্যেই বেশির
ভাগ মানুষ মারা পড়ত। যারা বেঁচে থাকত তাদের গুলি করে হত্যা করা হত। নাৎসী বাহিনীর হাতে
নারী বৃদ্ধ শিশু কারো কোন নিস্তার ছিল না।
হাজার হাজার ইহুদীকে হত্যা করতে যে বিরাট পরিমাণ গুলি খরচ
হত তাতে জার্মান কর্তৃপক্ষ চিন্তিত হয়ে পড়ল। হিটলারের আদেশে তৈরি হল গ্যাস চেম্বার।
একটা বড় ঘর। চারদিক বন্ধ। একসাথে দুশো জন সেই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে কার্বন
মনোক্সাইড গ্যাস ছাড়া হত। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই বিষাক্ত গ্যাসে মারা পড়ত সবাই। তাদের
মৃতদেহ গুলো সীমান্ত অঞ্চলে বিরাট বিরাট গর্তে ছুড়ে ফেলা হত। তিন বছরে হিটলার প্রায়
60 লাখ ইহুদী হত্যা করেছিলেন। ইহুদীদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ ও ঘৃণাই তাকে এই হত্যাকান্ডে
প্ররোচিত করেছিল।
No comments:
Post a Comment
Please Comment here