Monday, June 20, 2016

বাংলাদেশে নারী ও শিশু (Women & Children) নির্যাতনের প্রকৃতি ও প্রতিকার

দারিদ্র্যতা, শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আইনসহ নানাবিধ কারণে নারীরা নির্যাতিত। নিম্নে নারী নির্যাতনের প্রকৃতি:
♦ পারিবারিক. সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার।
♦ ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও গোড়ামির কারণে বিবাহ, তালাকসহ বিভিন্ন বিষয়ে নারী শারীরিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার।
♦ যৌতুক প্রথার যুপকাষ্ঠে বলি হচ্ছে প্রতিনিয়ত নারী জাতি। পুরুষের চাহিদামত যৌতুক প্রদান করতে না পারার অপরাধে নারী বহুবিধ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
♦ চলাফেরার ক্ষেত্রে ইভ-টিজিং এর মত শারীরিক, মানষিক বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয় নারী।
♦ নারীকে পুরুষের সমকক্ষ না ভাবা ও পরিবারে কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব থাকার কারণে নারী নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।

শিশু নির্যাতনের প্রকৃতি:
♦ শিশুর অধিকার নিশ্চিত না করা।
♦ শিশু শ্রমিকদের অবাধ ব্যবহার।
♦ অপহরণ ও পাচারের মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
♦ ছিন্নমূল শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি ব্যবস্থা না থাকায় শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
♦ শিশুদের অধিকার রক্ষায় গৃহীত আইনের প্রয়োগের অভাবে শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পরিবেশে বড় হওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় মূলত এক প্রকার নির্যাতনের ািশকার হচ্ছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারেঃ
♦ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সকল ক্ষেত্রে নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা।
♦ স্থানীয়, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় কোন আইনের ভুল ব্যাখ্যার জন্য কোন নারী ও শিশু যেন নির্যাতিত না হয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
♦ নির্যাতিত নারী ও শিশুর জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করা।
♦ সামাজিক  ক্ষেত্রে ইভটিজিং, চলাফেরায় বিঘ্ন, যৌতুক ও শিশুদের সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা।
♦ নারী শিক্ষা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার হারে বৈষম্য দূর করা।
♦ নারী ও শিশু পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
♦ সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে পুরুষের পাশাপাশি নারীর পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা।

No comments:

Post a Comment

Please Comment here

-->

Popular Posts

-->
-->