Sunday, November 27, 2016

মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের যে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন

বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা


বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগই অদক্ষ। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব, সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার অভাব, অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাব প্রভৃতি কারণে এদেশের জনসংখ্যার গুণগত মান নিম্ন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যক্তির যোগান বাড়াতে হলে বিভিন্ন উপায়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারের যে বিষয়গুলো কেন্দ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা হল:
১. মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্যের সরবরাহ অপরিহার্য। সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য একজন কর্মক্ষম ব্যক্তির দৈনিক ২২০০ থেকে ২৫০০  একক ক্যালরির প্রয়োজন। অথচ দেশে তার গড় প্রাপ্যতা ১৯০০ একক ক্যালরির কম। খাদ্যের যোগান বাড়ানোর জন্য কৃষিতে উচ্চফলনশীল বীজসহ  কৃষির অন্যান্য আধুনিক উপকরণ বাড়াতে হবে।

২. উপযুক্ত বাসস্থান মানুষের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে এবং তাকে সুস্থ, নীরোগ ও চিন্তামুক্ত রাখে। সরকারি পর্যায়ে বহুতলবিশিষ্ট অধিক সংখ্যক বাসগৃহ নির্মাণ, গৃহনির্মানের জন্য দরিদ্র লোকদের সহজ শর্তে ঋণ ও জমি প্রদান, জন অধ্যুষিত এলাকায় পয়ঃপ্রণালী নির্মাণ ও পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করা ইত্যাদি গ্রহণের মাধ্যমে বাসস্থানের সমস্যা লাঘব এবং মানব সম্পদের উন্নয়ন সম্ভব।

৩. জনসাধারণের সুচিকিৎসার জন্য অধিক সংখ্যক হাসপাতাল, মাতৃসদন, দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করতে হবে। দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা দ্রুত কার্যকর, বিদ্যমান আর্থ সামাজিক অবস্থার উপযোগী আধুনিক শিক্ষার প্রচলন এবং উৎপাদন মুখী কারিগরি প্রযুক্তি, বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রচলন, ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. অধিক সংখ্যক ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প  স্থাপন, ঋণ প্রদান, কারিগরি সহায়তা সহ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক কর্মক্ষম অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে।

৬. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়ু – পানি – শব্দ দূষণ রোধের মাধ্যমে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে মানুষের কর্মক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন। এ ব্যাপারে সর্বাত্মক উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।  


1 comment:

Please Comment here

-->

Popular Posts

-->
-->